এ পাইলট প্রকল্পে অভিজ্ঞতার আলোকে ২০০৮ সালে বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার বিভাগ এটুআই প্রোগ্রামের সহায়তায় ৩০টি ইউনিয়ন পরিষদে সিইসি থেকে বেরিয়ে এসে ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্র স্থাপন করে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৯ সালে আবারো স্থানীয় সরকার বিভাগ এটুআই-এর সহায়তায় ১০০টি ইউনিয়ন পরিষদে ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্র স্থাপন করে। বর্তমানে (২০১২) স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় জাতীয় স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান এসব ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্র সমন্বয় করছে।
২০১০ সালে স্থানীয় সরকার বিভাগ সিদ্ধান্ত নেয় ঐ বছরের জুন মাসের মধ্যে আরো ১০০০টি কেন্দ্র স্থাপন করবে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইতোমধ্যে (২০১২) ১০০০টি ইউনিয়ন পরিষদ এবং এর জন্য এসব ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ২০০০ জন উদ্যোক্তা বাছাই করা হয়। নারী পুরুষের সমতার কথা মাথায় রেখে উদ্যোক্তাদের মধ্যে প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে স্থানীয় একজন যুবক, একজন যুবতিকে বেছে নেয়া হয়। এই উদ্যোক্তারা একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে ইউনিয়ন পরিষদের সাথে একটি চুক্তিতে আবদ্ধ হয়ে একাজে যুক্ত হোন। এই উদ্যোক্তা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরাসরি যুক্ত এবং স্থানীয় জেলা প্রশাসক অবহিত।
মে ২০১০-এ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রাম ১০০ জনের একটি মাস্টার ট্রেইনার দল গঠনের লক্ষ্যে প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। এই প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ও বাংলাদেশ টেলিসেন্টার নেটওয়ার্কের আওতায় বিভিন্ন টেলিসেন্টারের উদ্যোক্তারা অংশ নেন। যাদের নেতৃত্বে জেলা পর্যায়ে উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
বর্তমানে সারা দেশে ৪ হাজার ৫০১টি ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র রয়েছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস